আজ ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সময় : রাত ২:৩২

বার : শুক্রবার

ঋতু : গ্রীষ্মকাল

আওয়ামী লীগের আগুন সন্ত্রাস ও নাশকতার বর্ণনা শেখ সেলিমের

আওয়ামী লীগের আগুন সন্ত্রাস ও নাশকতার বর্ণনা শেখ সেলিমের


শেখ ফজলুল করিম সেলিম

শেখ ফজলুল করিম সেলিম

নিজস্ব প্রতিনিধি

শেখ ফজলুল করিম সেলিম। গোপালগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার। শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগ্নে এবং যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শেখ ফজলুল হক মনি’র ছোটভাই। এক সময় যুবলীগের সভাপতি ছিলেন তিনি। শেখ হাসিনার আপন ফুফাতো ভাই। শেখ ফজলে নূর তাপসের আপন চাচা। তিনি নিজেই স্বীকার করেছিলেন আওয়ামী লীগ কিভাবে নাশকতা ও আগুন সন্ত্রাসের সাথে জড়িত।

২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা জারির পর ক্ষমতায় আসে সেনাবাহিনী সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। তখন শেখ ফজলুল করিম সেলিমসহ অনেক রাজনৈতিক নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। সেই সময় সেনা হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছিলেন শেখ আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা ও শেখ পরিবারের অন্যতম এই সদস্য।

তার বক্তব্যে উঠে এসেছিল রাজধানীতে বাসে গান পাউডার দিয়ে মানুষ পোড়ানোর মতো ঘৃণ্য ঘটনার বর্ণনা। যুবলীগের তখনকার চেয়ারম্যান মির্জা আজম এবং সেক্রেটারী জাহাঙ্গীর কবীর নানক কিভাবে নাশকতা ও আগুন সন্ত্রাসের নেতৃত্বে দিতেন সেটাও পাওয়া যায় তাঁর বর্ণনায়। এছাড়া, সজিব ওয়াজেদ জয়ের ভারতে বিয়ের পর তালাক দেয়া, আমেরিকার বিবাহিত এক নারীকে বিয়ে করা এবং শেখ হাসিনার বেফাঁস কথাবার্তায় দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হওয়া প্রসঙ্গেও আলোকপাত করেছিলেন তিনি।

২০০৭ সালে গ্রেফতারের পর আওয়ামী নাশকতা নিয়ে ফজলুল করিম সেলিমের দেওয়া বর্ণনা পাঠকের আমার দেশ এর পাঠকের জন্য এখানে হুবহু তুলে দেওয় হল। তাঁর এই বর্ণনা ইউটিউবে এখনো পাওয়া যায়।

সেনা কর্মকর্তা: আচ্ছা স্যার .. এই .. ই অ্যা.. আমাদের নেত্রীর (শেখ হাসিনা) যে ছেলে .. জয় (সজিব ওয়াজেদ জয়) …

শেখ সেলিম: (সেনা কর্মকর্তার পুরো বাক্য শেষ হবার আগেই তিনি বলে উঠলেন) জ্বি।

সেনা কর্মকর্তা: উনার বয়স হয়তো ….

শেখ সেলিম: ওই মুক্তিযুদ্ধের সময় ৪ (মাস)

সেনা কর্মকর্তা: এখন হয়তো …

শেখ সেলিম: ছত্রিশ বছর (ওয়ান/১১ এর সময়কালে)

সেনা কর্মকর্তা: ছত্রিশ বছর বয়স।

শেখ সেলিম: জ্বি।

সেনা কর্মকর্তা: উনি এই দেশের .. অ্যা.. খুব সম্ভবত ছোটকালে ছিলো .. উনার যে আসল… উনি যখন থেকে বুঝা শুরু করলেন ..তারপর থেকেই কিন্তু উনি বিদেশে।
শেখ সেলিম: জ্বি।

সেনা কর্মকর্তা: সো, উনি দেশের পলিটিক্স সম্পর্ক সম্ভবত অতো অবগত নন। (এই সময় শেখ সেলিম বামদিকে একটু ঝুঁকে বাম চোখের উপর চুলকাতে থাকেন।)

সেনা কর্মকর্তা: দেশের .. এ্যা .. লোকজনের সঙ্গে মিলেমিশে বড় হওয়ার যে অভিজ্ঞতা … সেটার প্রচণ্ড ঘাটতি ছিলো। (এই সময় শেখ সেলিম মুখ মুছতে থাকেন।)

সেনা কর্মকর্তা: তারপরও আমরা যেটা শুনতে পেরেছি। মিস্টার জলিল (প্রয়াত মোহাম্মদ আব্দুল জলিল। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক) আমাদেরকে বলেছেন যে, উনি (শেখ হাসিনা) চান নাই যে উনার (শেখ হাসিনা) ছেলে পলিটিক্সে আসুক। তারপরও নেত্রী (শেখ হাসিনা) যে মহড়া দেখালেন ছেলেকে (সজিব ওয়াজেদ জয়) পলিটিক্সে আনার ব্যাপারে.. উনি (শেখ হাসিনা) কি এটা ভুল করেছেন না?

শেখ সেলিম: অবশ্যই ভুল করেছেন। আমাদের অনেকেই ভালোভাবে নেয়নি। … উনি (শেখ হাসিনা) তো এটা মাটিতে দাঁড়িয়ে থেকে বলছেন না। গ্রহণযোগ্যতা থাকতে হবে। (শেখ সেলিমের কথার মাঝে সেনা কর্মকর্তাও তখন বলেন, গ্রহণযোগ্যতা থাকতে হবে।)

শেখ সেলিম: আপনার.. অতীতের যারা পরিবার থেকে রাজনীতি করসে, দেখেন তাদের .. তারা ওই পরিবার থেকেই শিখে আইসে.. একটা প্রসেসের মাধ্যমে আইসে.. এখানে এই প্রসেস তো চাপিয়ে দিলে পাবলিক গ্রহণ করবে না। হয়তো উনার (শেখ হাসিনা) ক্ষমতা যতদিন আছে ততদিন চলবে। বঙ্গবন্ধুর মেয়ে হিসেবে যখন উনাকে (শেখ হাসিনা) করা হইসিলো তখন পার্টির (আওয়ামী লীগ) ভিতর অনেক ফ্রাকশন ছিলো। উনি (শেখ হাসিনা) আসে ৮১ সালে। এই কয়েকটা গ্রুপ ছিলো (আওয়ামী লীগের ভেতর)। আব্দুর রাজ্জাক, তোফায়েল আহমেদ, ওই দিকে আমির হোসেন আমু, জোহরা তাজউদ্দিন, ড. কামাল হোসেন… এর ভিতর সবকিছুকে অ্যাকোমোডেট করার জন্যই কিন্তু উনাকে আনা হয়। আর.. এখন কিন্তু সেই পরিস্থিতি নাই। এখন জয় (সজিব ওয়াজেদ জয়) আইসে কোনোকিছু করলে এটা বাস্তবতা না। এটা বলতে গেলে ভুল। আর এটা পার্টির সবাই গ্রহণ করবে না।

সেনা কর্মকর্তা: তারপর আপনি তো জানেন স্যার, জয়… জয়ের ব্যাপারে… যেহেতু উনি বিদেশে বড় হয়েছে তার কাছে বিদেশের কালচারটা ইভেন নরমাল। যেমন মনে করেন জয় এর আগে ভারতের এক মেয়েকে বিয়ে করেছিল। তারপর এখন যে বিয়ে করেছে সেটাও তার ওই মহিলার জন্য দ্বিতীয় বিবাহ। তো এই যে কালচারগুলা… এই কালচারগুলা বিদেশের লোকজনের কাছে খুব নরমাল হলেও ….

সেনা কর্মকর্তা এতটুকু বলার মাঝেই শেখ সেলিম (মাথা নিচু করে) বললেন, বাংলাদেশে না।’

সেনা কর্মকর্তা: বাংলাদেশে… বাংলাদেশের নেতাদের কাছ থেকে আমাদের অন্যান্য সমর্থকরা এটা আশা করে না।
এ সময় মাথা তুলে শেখ সেলিম বলেন, এটা.. এটা বাংলাদেশে হবে না।
সেনা কর্মকর্তাও তখন বলেন, এটা বাংলাদেশে হবে না।

সেনা কর্মকর্তা: এটা কি আপনারা নেত্রীকে (শেখ হাসিনা) একবারও বুঝান না যে, এই বিষয়গুলো বিভিন্ন মিডিয়া, বিভিন্ন জায়গায় আসবে তখন আমাদের দলের একটা ইমেজ খারাপ হবে। এসব কি কিছু বলেছিলেন নেত্রীকে?

শেখ সেলিম: আমি একবার বলসিলাম। …. আমি যেটা বলসিলাম যে.. যখন ওই বিয়ে করসে… আমি বলসিলাম যে পলিটিক্স করতে হলে জয়কে দেশে এসে থাকতে হবে। … তখন (শেখ হাসিনা) বলে, না না না। জয় কোনো কিছু (রাজনীতির প্রতি ইঙ্গিত করে) করবে না।

সেনা কর্মকর্তা: স্যার, কেউ কেউ বলে মিস্টার কিবরিয়া (শাহ এ এম এস কিবরিয়া)। আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক অর্থমন্ত্রী। ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি সিলেটের হবিগঞ্জে গ্রেনেড হামলায় নিহত হন) জয়ের পলিটিক্সে আসার ব্যাপারে বেশ বিরোধীতা করেছিলেন। এটা কি ঠিক স্যার?

শেখ সেলিম: না কিবরিয়া সাব তো এমন বিরোধীতা করেছে এমন কিছু আমাদের নলেজে নাই। সবাই সরাসরি বিরোধীতা করসে…(বাক্য পুরো না করেই বললেন) কিন্তু, সবাই নিজেদের মধ্যে কানাঘুষা করসে। নেত্রীর সামনে সরাসরি বিরোধী কেউ (করে নাই এমন ইঙ্গিত করেন শেখ সেলিম)।

সেনা কর্মকর্তা: আচ্ছা স্যার এই জয়ের ব্যাপারে.. জয়ের ব্যক্তিগত জীবনযাপনের ব্যাপারে আপনি কিছু বলতে পারবেন স্যার?

শেখ সেলিম: আমি তো অনেক দিন ডিটাচড আছি।

সেনা কর্মকর্তা: না স্যার ওর (জয়) পড়াশোনাটা কি…
(সেনা কর্মকর্তার পুরো প্রশ্ন শেষ করার আগেই শেখ সেলিম জবাব দেয়া শুরু করেন।)

শেখ সেলিম: ও (জয়) ইন্ডিয়ায় ছিলো ফার্স্টে। তারপর ইন্ডিয়া থেকে (অনেক ক্ষণ কিছু মনে করার চেষ্টা করলেন তিনি)।

সেনা কর্মকর্তা: ইন্ডিয়ায় যে বিয়েটা করেছিল সেটা কোন ইয়ারে স্যার?

শেখ সেলিম: এটা তো অনেক আগে। এটা নাইনটি ফোরে।

সেনা কর্মকর্তা: এটা কি কোনো অনুষ্ঠান হয়েছিল স্যার?

শেখ সেলিম: আমরা জানি না। আমার জানা নাই। নলেজে নাই।

সেনা কর্মকর্তা: তখন অনুষ্ঠান-টনুষ্ঠান কিছু করায় নাই?

শেখ সেলিম: না না না। আমাদের কিছু জানায় নাই।

সেনা কর্মকর্তা: বিয়েটা কি ভারতে হয়েছিল নাকি অন্য কোথাও?

শেখ সেলিম: (অস্পষ্ট কণ্ঠস্বর) ….
(তবে বুঝা যাচ্ছে বিয়ের বিষয়টা তখন শেখ সেলিমের পরিবারকে জানানো হয় নাই।)

সেনা কর্মকর্তা: বিয়েটা কয়দিন টিকেছিল স্যার?

শেখ সেলিম: (হেসে বললেন) তাও বলতে পারব না। আমরা তো দেখিই নাই। মেয়েটাকে দেখিও নাই।

সেনা কর্মকর্তা: বলছিলাম এই কারণে যে আপনি তো স্যার খুব ক্লোজ। আপনার ওপর খুব নির্ভরশীল।

শেখ সেলিম: ক্লোজ ঠিকই। কিন্তু কিছু ব্যক্তিগত বিষয়গুলা আছে এগুলা (শেখ হাসিনা) না বললে তো বেশি জিজ্ঞাসা করা…

সেনা কর্মকর্তা: আচ্ছা।

শাহবাগে গান পাউডার দিয়ে বাস পুড়িয়ে মানুষ হত্যায় যুবলীগ:

সেনা কর্মকর্তা: স্যার এই ঘটনাটা তো আপনি ভালো মতোই জানেন। আপনি শুনেছেন কারা এই কার্যক্রমের (জ্বালাও-পোড়াও, বাসে গান পাউডার দিয়ে মানুষ হত্যা) সাথে জড়িত। আপনি যদি একটু ইলাবোরেটলি আমাদেরকে বলতেন … কখন এটা শুনতে পারলেন যে এরা… (কথা শেষ করতে পারলেন না সেনা কর্মকর্তা। তার মাঝেই শেখ সেলিম কথা বলা শুরু করেন।)

শেখ সেলিম: না আমি তো এটা বলছি যে আমি বাসায় ছিলাম। তখন দুই লোক (শেখ সেলিমের কাছে গিয়ে তার ঘনিষ্ঠ ছাড়া কেউ এমন তথ্য দিতে পারে না) এসে বলল যে, ওই অফিসে (যুবলীগ) বসে ওই চেয়ারম্যান-সেক্রেটারি (যুব লীগের তখনকার চেয়ারম্যান ও সেক্রেটারি) পরামর্শ করে কিছু গাড়ীতে হামলার করার ব্যবস্থা ..

এরপর শাহবাগে গাড়ী পোড়ানোর বর্ণনা সেনা কর্মকর্তার কাছে দিলেন শেখ সেলিম।

সেই বর্ণনায় শেখ সেলিম বলেন, আমি তাদেরকে (তার কাছে আগত সেই দুই লোক) বললাম, তোমরা মানা করতে পারলা না? এ ধরণের ঘটনা (শাহবাগে গাড়ী পোড়ানোর ঘটনা)। এটায় তো মানুষ মারা গেছে! এখন, কী হলো, কী হলো না সেটা তো আমরা বুঝতে পারি নাই। এরপর সেই দুই লোক (তাদের পরিচয় ভিডিওতে নেই) নিজেদের মধ্যে কানাঘুষা করে আরও কয়েকজনকে সেখানে (শাহবাগে) ফোন করে পাঠিয়ে দিলো। আমার কাছে কয়েকজন ফোন দিসিলো যে এটা পার্টির জন্য খারাপ হইসে। তাদেরকে আমরা জবাব দিবো কী! এই আর কী!

সেনা কর্মকর্তা: যুবলীগের কারা এর সাথে .. ওই দিনের ঘটনা (শাহবাগে বাস পোড়ানো) .. পরিকল্পনার সাথে কারা জড়িত ছিলো?

শেখ সেলিম: চেয়ারম্যান-সেক্রেটারি (যুবলীগ)।

সেনা কর্মকর্তা: নাম কী স্যার?

শেখ সেলিম: নানক-আজম (জাহাঙ্গীর কবীর নানক-মির্জা আজম) এরা। …. আর কে কে ছিলো মনে নাই।

সেনা কর্মকর্তা: কিন্তু, নিশ্চয়ই ওদের মধ্যে একটা গ্রুপ থাকা উচিত ছিলো যারা নাকি এটা প্রটেস্ট করতো।

শেখ সেলিম: হয়তো জানতো না। গোপনে হয়তো…

সেনা কর্মকর্তা: আচ্ছা আচ্ছা স্যার। গোপনে হয়তো পরিকল্পনা …

শেখ সেলিম: উনারাই (নানক-আজম) বলসে যাও তোমরা ঘটাইয়া (শাহবাগে বাস পোড়ানো) আসো।

সেনা কর্মকর্তা: তারপর ঘটনার পর (বাসে আগুন) জানিয়েছে ওরা?

শেখ সেলিম: জানি না।

সেনা কর্মকর্তা: আপনি তো জানেন স্যার সেখানে গান পাউডার দিয়ে…

শেখ সেলিম: হ্যাঁ গান পাউডার দিয়ে।

সেনা কর্মকর্তা: এটা বেশ পরিকল্পিত ছিলো।

শেখ সেলিম: হতে পারে।

সেনা কর্মকর্তা: তো স্যার এসব পরিকল্পনার ক্ষেত্রে আপনারা নেত্রীকে (শেখ হাসিনা) কিছু বলেন নাই যে …..

শেখ সেলিম: নেত্রীকে তো ওইভাবে বলা হইসে যে … আমরাও অনেক কিছু জানি না।

সেনা কর্মকর্তা: এই ঘটনার পর (শাহবাগে গান পাউডার দিয়ে বাস জ্বালিয়ে) যুবলীগের ওই সদস্যদেরকে কী আপনারা কোনো রকম শোকজ করেছিলেন?

শেখ সেলিম: না।

সেনা কর্মকর্তা: বা তিরস্কার?

শেখ সেলিম: না।

সেনা কর্মকর্তা: বাট আপনারা নেত্রীকে বলেন নাই যে এই যে এটা কন্ট্রোল করা উচিত।

শেখ সেলিম: (অস্পষ্ট কণ্ঠস্বর) আমি বলছি যে… এই ঘটনার সঙ্গে যুবলীগ ইনভলভ (অস্পষ্ট কণ্ঠস্বর) …

সেনা কর্মকর্তা: আচ্ছা, যুবলীগের সেই সদস্যরা এখন কোথায় আছে?

শেখ সেলিম: আমি জানি না।

সেনা কর্মকর্তা: এরা কী ভারতে আশ্রয় নিয়েছে বলে আপনার মনে হয়? বিভিন্ন খবরের কাগজে আসতেছিলো।

শেখ সেলিম: আমি জানি না। আমার সঙ্গে যোগাযোগ নাই।

সেনা কর্মকর্তা: আপনি খবরের কাগজে দেখেন নাই স্যার?

শেখ সেলিম: না আমি খবরের কাগজে (অস্পষ্ট কণ্ঠস্বর)।

সেনা কর্মকর্তা: স্যার আওয়ামী লীগের জনসমর্থন কমে যাওয়ার পেছনে আপনার নেত্রীর উপস্থিতি, বক্তব্য এটা বিরাটভাবে প্রভাবিত করে। এই ক্ষেত্রে আপনার মত কী?

শেখ সেলিম: নেত্রীর মাঝে মধ্যে কথা (অস্পষ্ট কণ্ঠস্বর) .. উনার কথার টোন ঠিক করলে ভালো হয়।

সেনা কর্মকর্তা: উনাকে এডভাইস করেন না যে মাঝে মধ্যে আপনার (শেখ হাসিনা) বেফাঁস কথাবার্তা দলকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দেয়।

শেখ সেলিম: এটা ব্যক্তিগত .. কিন্তু … মিটিংয়ে কেউ বলে না।

সেনা কর্মকর্তা: মিটিংয়ে কেউ বলে না?

শেখ সেলিম: ব্যক্তিগত ভাবে কেউ কেউ বলে।

সেনা কর্মকর্তা: আপনি ব্যক্তিগতভাবে কখনও ডেকে বলেন নি যে তুমি (শেখ হাসিনা) এভাবে কাজ করবা?

শেখ সেলিম: না ওইভাবে না.. তবে আমরা পরে হয়তো বলসি এভাবে ঠিক হয় নাই… ওইভাবে বললে হয়তো ভালো হইতো।

সেনা কর্মকর্তা: আপনি কি উনার সঙ্গে ফ্রি নন?

শেখ সেলিম: উনি তো পার্টি চেয়ারম্যান!

সেনা কর্মকর্তা: না পারিবারিক পরিবেশে?

শেখ সেলিম: (হেসে) পারিবারিক পরিবেশে বলা যায়। জ্বি ফ্রি।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     More News Of This Category